আওয়ামী নেতারা গোপনে সক্রিয়

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতারা গুপ্ত রাজনীতি শুরু করেছে। তারা তাদের কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন দিক নির্দেশা দিয়ে যাচ্ছে। সে মোতাবেক আওয়ামী দোসররা নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। কখনো ঝটিকা মিছিল আবার কখনো গোপন মিটিং করে যাচ্ছে। কিন্তু পলাতক নেতারা তাদের কর্মীদের সক্রিয় করতে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থা এখনো তাদের গোপন মিটিংয়ের আন্তানা চিহ্রিত করতে পারেনি। আওয়ামীলীগ পতনের পর দেশব্যাপী অপারশেন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করলেও আত্মগোপনে থাকা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি থেকে শুরু করে থানা, উপজেলা এবং ইউপি চেয়ারম্যানরা এখনো একাধিক মামলার আসামী হলেও এখনো গ্রেফতার হচ্ছে না। তবে আত্মগোপন থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আওয়ামীলীগের নেতাদের সক্রিয় করছে। সেই সাথে নাশকতা বিভিন্ন নীল নকশা করে যাচ্ছেন। সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আব্দুল হাই, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, ফতুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান ফাইজুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন, সোনারগাঁ উপজলো আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালামসহ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন থানা, উপজেলা, ইউপি নেতা থেকে চেয়ারম্যান মেম্বার, এখনো কেউ এলাকায় প্রকাশ্যে আবার কেউ দেশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থেকে সামাজকি বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে গুপ্ত রাজনীতি করছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে সাবেক নারায়ণগঞ্জ-৩, ৫ আসনের সাবকে সাংসদ এখনো দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবকে এমপি কায়সার হাসনাত ঢাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। এদিকে ঢাকায় থেকেই টেলিগ্রাম গ্রæপের মাধ্যমে আত্মগোপন থেকেই তার অনুসারিদের সক্রিয় রয়েছেন। ইতিমধ্যেই তার নির্দেশে নাশকতা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গভীর রাতে ঝটিকা মিছিল করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের পক্ষে পুরো উপজেলার নেতাদের টেলিগ্রæপে অর্ন্তভুক্ত করে সক্রিয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সেক্টরে অস্থিতিশীল করতে দেশের অর্থনীতিতে সংকট সৃষ্টির জন্য নীল নকশা করা হচ্ছে। এদিকে জেলার অন্যান্য সাবেক সাংসদ আওয়ামীলীগের চিহ্নিত নেতারা দেশ ত্যাগ করেছেন। তারা দেশের বাইরে বসে তাদের অনুসারিদের বিভিন্ন মাধ্যমে দিক নির্দেশা নিয়ে সক্রিয় করে চলেছেন। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আব্দুল হাই, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন, সোনারগাঁ উপজলো আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম এসকল নেতারা কখনো ঢাকায় কখনো নারায়ণগঞ্জের পাশের জেলা মুন্সগিঞ্জ, কুমিল্লা, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করে নাশকতার পরিকল্পনা করছেন বলে সূত্র জানায়। এছাড়া অনেকেই গোপেন নিজ এলাকায়ও যাতায়াত করেন মাঝে মধ্যে। এরমধ্যে সকলেই আওয়ামীলীগের পক্ষে সক্রিয় রয়েছেন। তবে নারায়ণগঞ্জের এসকল আওয়ামী নেতাদের আস্তানা চিহিৃত করা হচ্ছে না। কারণ এখনো গোয়ান্দা নজরধারীর দুর্বলতায় তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। এসকল নেতারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা এবং হত্যার চেষ্টার একাধিক মামলার আসামী। তাছাড়া গত ১বছরে আত্মগোপনে থেকে আওয়ামী রাজনীতিতে গোপন তৎপর রয়েছেন যেটা সামাজিক মাধ্যমে প্রায়ই তাদের বিভিন্ন ভার্চুয়্যাল মিটিং এবং চেটিং সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। এতে করে জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ তারা যে কেনি সময় দেশে নাশকতা করে দেশে অস্থিরতা বাড়াতে পারে।