আজ বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭ | দুপুর ১২:০৮

না’গঞ্জে বিএনপি’র সামনে চ্যালেঞ্জ অনৈক্য

ডান্ডিবার্তা | ০৫ অক্টোবর, ২০২৫ | ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অনৈক্যর কারণে বিএনপিকে মাসুল দিতে হতে পারে এমন আশঙ্কা বিএনপির তৃনমূলের। কারাণ নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে দলছে দলাদলি আর নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য। কেউ কাউকে মানছে না। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুর্বল নেতৃত্বে বিএনপিকে পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেখা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা কর্মী-সমর্কদের নিয়ে উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ ও জনসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দলীয় ও জাতীয় অনুষ্ঠানে সমর্থকদের উপস্থিতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগীতা করছেন। ঐতিহ্যগত ভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করে আসছে। জুলাই বিপ্লবের পর বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্য রাজনীতি থেকে এক প্রকার হারিয়ে যাওয়ায় বিএনপিকে এই জামায়াত ও এনসিপির সাথে প্রতিদন্ধীতা করতে হবে। তবে এলাকায় জামায়াত ও এনসিপির মনোনীত প্রার্থীর পরিচিতি কম হওয়াতে বিএনপি তাদের সুবিধা হিসাবে বিবেচনা করছে। মনোনয়ন নিয়ে দলীয় বিভাজন স্পষ্ট হলেও প্রার্থী চুড়ান্ত হলে সবাই মিলে মাঠে একত্রিত হয়ে কাজ করবে বলে মনে করছে দলের শুভাকাঙ্খীরা। এদিকে রূপগঞ্জ জামায়াত ইসলামীর একক প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা এবং রূপগঞ্জে বিএনপির বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ন-আহবায়ক ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া (দিপু) এবং জেলা আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক শরিফ আহমেদ টুটুল এবং রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি এর কেন্দ্রীয় সংগঠক সাইফুল ইসলাম রোমান হওয়ায় নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক আচার অনুষ্ঠান পরিচালনা করে সুবিধাজনক স্থানে রয়েছেন। উপজেলায় ইসলামী আন্দোলন, গন অধিকার পরিষদ সহ অন্যান্য দলগুলোর কিছু কর্মী-সমর্থক থাকলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি বলে স্থানীয় ভোটাররা মনে করেন। কোনো একটি আসনে যদি বিএনপি দুর্বল বা বিতর্কিত প্রার্থী দেয়, তখন সেই আসনের বিএনপি সমর্থিত ভোটাররা হতাশ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে অনেকেই তখন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে, অথবা ভিন্ন কোনো দলের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়। জামায়াতে ইসলামী একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি সম্পন্ন দল, বিশেষ করে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়। তারা সবসময়ই দুর্বল রাজনৈতিক পরিবেশের সুযোগ খোঁজে। যদি তারা দেখে যে বিএনপি’র প্রার্থী জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে, তখন তারা নিজেদের শক্তিশালী প্রার্থীকে সামনে নিয়ে আসে। জামায়াতের প্রার্থীরা সাধারণত তাদের নিজস্ব ভোটারদের পাশাপাশি অন্য দলের অসন্তুষ্ট ভোটারদেরও আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। ভোটের এই বিভাজন এবং জামায়াতের কৌশলগত পদক্ষেপের কারণে, বিএনপি তাদের নিশ্চিত ভোট হারাতে পারে। ফলে জামায়াতের প্রার্থী সেই আসনটি জিতে নিতে পারে, যা বিএনপির জন্য একটি বড় রাজনৈতিক ক্ষতি। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে জামায়াত বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে বা স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে কিছু আসন জিতে নিয়েছে। এনসিপি এই ধরনের নতুন দলগুলো মূলত মধ্যম মানের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করে। যদি বিএনপি নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা দুর্বল প্রার্থী নির্বাচনের কারণে জনপ্রিয়তা হারায়, তখন সেই শূন্যতা পূরণ করতে এই ধরনের দলগুলো উঠে আসতে পারে। এই দলগুলো সাধারণত তরুণ ভোটার এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কাছে নিজেদেরকে বিকল্প হিসেবে তুলে ধরে। তারা প্রায়শই নতুন রাজনৈতিক ¯েøাগান এবং প্রতিশ্রæতি দেয়, যা পুরনো দলগুলোর ওপর বিরক্ত ভোটারদের আকর্ষণ করে। এনসিপি’র মতো দলগুলো নির্বাচনে খুব বেশি আসন না পেলেও, তারা ভোট ভাগ করে দিতে সক্ষম হয়। যদি কোনো আসনে বিএনপি এবং এনসিপি’র মধ্যে ভোট ভাগ হয়ে যায়, তখন অন্য কোনো দলের, যেমন ক্ষমতাসীন দল বা জামায়াতের প্রার্থী জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি’র মধ্যে প্রায়শই তীব্র কোন্দল দেখা যায়। অনেক সময় যোগ্য নেতারা মনোনয়ন না পেয়ে দল থেকে বেরিয়ে যান বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। এই কোন্দল জনগণের সামনে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে প্রায়শই আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমঝোতার অভাব দেখা যায়। যদি বিএনপি কোনো আসনে জামায়াতের প্রার্থীকে সমর্থন না দেয়, তাহলে জামায়াত সেই আসনে নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করিয়ে বিএনপির ভোট কেটে নিতে পারে। এই ধরনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং জোটের দুর্বলতা বিরোধী জোটকে দুর্বল করে তোলে। এর ফলে ক্ষমতাসীন দল বা অন্য ছোট দলগুলো সহজেই তাদের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারে। একই অবস্থা নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি আসনে। ফ্যাসিষ্ট আমলে নির্যাতিত একাধিক বিএনপি নেতার মতে, বর্তমান সময়ে বিএনপির শত্রæ বিএনপির নিজেরাই। ৫ আগষ্টের পদ পরিবর্তনের পরে নিজেদের শক্তি-সক্ষমতা দেখাতে গিয়ে সংঘর্ষে রূপগঞ্জে কমপক্ষে ৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত দুই শতাধিক। এনিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে কিছুটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভোটের আগেই নিজেদের মধ্যে কোন্দল মিটিয়ে সঠিক প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হলে আসনটি হাতছাড়া হতে পারে বলে তারা মনে করেন বিএনপির তৃনমূল।
ই-




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা