আজ শুক্রবার | ২২ আগস্ট ২০২৫ | ৭ ভাদ্র ১৪৩২ | ২৭ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ২:১৩
শিরোনাম:
বাসভাড়া বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ না’গঞ্জবাসী    ♦     নির্বাচনের ব্যাপারে প্রফেসর ইউনূস সিরিয়াস    ♦     বাংলাদেশে এক ধরনের উগ্রবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে    ♦     নতুন বাংলাদেশে আমরা শেখ মুজিবকে কীভাবে দেখব    ♦     ব্যক্তিগত অর্থায়নে একের পর এক রাস্তা সংস্কার করেই যাচ্ছেন মাকসুদ হোসেন    ♦     আইনজীবীদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় মাঠে বিদ্রোহী প্যানেল    ♦     আদালতপাড়ায় জামায়াতপন্থী আইনজীবী প্যানেলের গণসংযোগ    ♦     সিদ্ধিরগঞ্জে জাতীয় যুব ফোরামের উদ্যোগে হাই স্কুলে ক্রীড়া সরঞ্জাম বিতরণ    ♦     সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদের নির্মাণ কাজে বিএনপি নেতার বাঁধা    ♦     ফতুল্লায় বিএনপির ৩ নেতাকে অব্যাহতি    ♦    

বিএনপির দুই গ্রুপে উত্তপ্ত আদালতপাড়া

ডান্ডিবার্তা | ২২ আগস্ট, ২০২৫ | ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির পাল্টাপাল্টি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। একে অপরের গিবত নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আইনজীবী ফোরমা থেকে ইতিমধ্যে ৩ জনকে বহিস্কার করেছে। যা নিয়ে এখন উত্তপ্ত আদালতপাড়া। গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত গোসেন খান বলেছেন, সেলিম ওসমানের প্রেতাত্মারা আইনজীবী সমিতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে এবং ফ্যাসিস্টদের রক্ষা করতে চাইছে। আইনজীবী সমিতিতে ফ্যাসিস্টদের কোনো স্থান নেই। কোনো ফ্যাসিস্টকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। অপরদিকে আদালতের প্রভাবশালী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে নিয়ে বিদ্রোহী গ্রুপের পক্ষ অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব যিনি এবারের নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের রেজা-গালিব প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নানা কর্মকান্ড তুলে ধরে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সাংবাদিক সম্শেলন করে গালিব বলেন, ২০২৪ সালের বিনাভোটের নির্বাচন বিএনপির আদর্শকে কলঙ্কিত করেছে। জিয়াউর রহমানের আদর্শকে কলঙ্কিত করেছে। সাধারণ আইনজীবীদের বিবেককে আহত করেছে। নির্বাচন উপলক্ষে যে বাণিজ্য হয় সেই বাণিজ্যের বিরোধীতা এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আগামী ২৮ তারিখের নির্বাচন আইনজীবীদের আত্মসম্মানবোধ রক্ষার নির্বাচন। শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব বলেন, পূর্বে টর্চারসেল ছিলো শহীদ মিনারের পিছনে। এখন টর্চারসেল হয়েছে বারের দ্বিতীয় তলায়। দ্বিতীয় তলার একটি রুমে সমস্যার সমাধান হয়। এই রুমটা এখন টর্চারসেলে রূপান্তরিত হয়েছে। গতবার আমরা যখন মনোনয়ন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদ করেছিলাম সিলেকশন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদ করেছিলাম তখন ওই টর্চার সেলে জিম্মী করে তাদের সিলেকশন মেনে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। আমাদের একজন ভাইকে রক্তাক্ত জখম করেছে সাখাওয়াত হোসেন খান এবং আনোয়ার প্রধান তার গুন্ডা বাহিনী। তিনি আরও বলেন, গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যার পরে এই টর্চার সেলে নির্যাতনের শিকার হয়েছে অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন ভূইয়া সবুজ। এদিন নারায়ণগঞ্জ বারের নির্বাচন বিষয়ে একচেটিয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করাতে সালাউদ্দিন সবুজকে তার স্ত্রীর সামনে মারধর করা হয়েছে। তার স্ত্রীও একজন অ্যাডভোকেট। স্ত্রীর সামনে স্বামীকে মারধর এটা কি পরিমাণ ট্রমা যিনি ভুক্তভোগী তিনিই বলতে পারবেন। গালিব বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ বারে দুর্নীতি চাঁদাবাজি বন্ধ করতে চাই, জামিন বাণিজ্য বন্ধ করতে চাই, ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করতে চাই, তদবীর বাণিজ্য বন্ধ করতে চাই। এই আদালতের মান অটুটু থাকুক এটা আমরা চাই। সাখাওয়াত হোসেন খান আওয়ামী লীগের সময়ে বুক ফুলিয়ে রাজনীতি করেছে এটা আশ্চর্য্যজনক বিষয়। সাখাওয়াত হোসেন খানের স্ত্রী সেলিম ওসমানের এপিএস ছিলেন এটা নারায়ণগঞ্জবাসী জানে। সেলিম ওসমানের সাথে আঁতাত করে রাজনীতি করেছেন এটা নারায়ণগঞ্জবাসী অজানা নয়। তিনি আরও বলেন, আপনি যখন মেয়র নির্বাচন করেছেন আইভীকে ফেল করানোর জন্য শামীম ওসমানের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা নিয়েছিলেন এটা নারায়ণগঞ্জবাসী জানে। এট টাকার ভাগ নিয়ে টিপু ভাইয়ের সাথে বেশ কয়েকদিন প্রকাশ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এটা নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা জানে। আমাদেরকে সেলিম ওসমানের দোসর বলে লাভ নেই। আমি বিএনপি করি বিএনপি থেকে কিছু পাইনি পাওয়ার আশাও করি না। সেলিম ওসমানের ভয়ে আপনাকে কেউ কিছু বলতে পারে নাই। আপনি নারায়ণগঞ্জের লোক না। আপনি মুন্সিগঞ্জের লোক। নারায়ণগঞ্জের মা মাটি মানুষের সাথে মিশেন নাই। আমরা আইনজীবীরা আপনাকে নেতা বানিয়েছি। প্রতিবাদ করলেই মারধর প্রতিবাদ করলেই আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেন আগে নিজের চরিত্র সংশোধন করেন। আমরা কি নারায়ণগঞ্জবাসী জানে। একটা সময় নিজ চোখে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে বসে দেখেছি। এই গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনি রাজনীতি করেছেন। বর্তমানে তিনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর কাছে সাখাওয়াত হোসেন খান অসহায়। এই কারণেই গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে নিয়ে সাখাওয়াত হোসেনে গাত্রদাহ। কিন্তু যখন তার কাছ থেকে টাকা আনতেন তখন তার গাত্রদাহ হয়নি। শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব বলেন, আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যে ওয়াদা করেছিলেন একটাও রাখতে পারেননি। গতবার বলেছিলেন যারা এ বছর পদ পদবী পেয়েছে তারা পরবর্তীতে নির্বাচন করতে পারবেন না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই ওয়াদা রাখতে পারেননি। বিপরীতে একটা নোংরা নির্বাচনের মাধ্যমে একদিনের নোটিশে ফোরামের নির্বাচন দিয়ে অ্যাডভোকেট জাকির হোসেনের মতো সিনিয়র আইনজীবীকে অসম্মান করেছেন। অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়ার সহ সিনিয়র আইনজীবীদের অসম্মান করেছেন। অ্যাডভোকেট টুটুলের বিএনপির একজন খাস আইনজীবীকে অসম্মান করেছেন। সাখাওয়াত হোসেন খান চায় যে তার আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে তাকেই পদ পদবী দিবে। এনিয়ে আদালতপাড়া এখন উত্তাল। আদালতপাড়ায় এখন আলোচনা আর সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেক আইনজীবী ২৮ আগষ্টের ভোট গ্রহনের দিন সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা