আজ শনিবার | ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২২ ভাদ্র ১৪৩২ | ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | রাত ১১:৩৭

ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ আওয়ামী দোসরদের দখলে

ডান্ডিবার্তা | ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের জনগণ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। জনগণ কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ইউনিয়নের অধিকাংশ চেয়ারম্যান মেম্বাররা আওয়ামী দোসর হওয়ায় তারা জনগণকে সেবা দিতে আসতে পারে না। এ কারণে সাধারণ মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বৈষম্য বিরোধী মামলায় জেলে রয়েছে। সেই সাথে প্যানেল চেয়ারম্যান এক বাবুল ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি, প্যানেল চেয়ারম্যান দুই হাফেজ আইয়ূব আওয়ামীলীগ নেতা ও প্যানেল চেয়ারম্যান তিন সখিনা বেগমও আওয়ামীলীগ নেত্রী হওয়ায় তারা গ্রেফতার এড়াতে পরিষদে আসতে পারেনা এ জন্য জনগণ সেবা থেকে বঞ্জিত হচ্ছে। এদিকে প্যানেল চেয়ারম্যান এক বাবুলকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেয়া হলেও তিনি সময় মত পরিষদে আসেন না। সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যপারে ধামগড় ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকার জালাল মিয়া বলেন, আমরা চেয়ারম্যান না থাকায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। জাঙ্গাল এলাকার আব্দুস সামাদ বলেন, পরিষদের গিয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের পাওয়া যায় না। আমরা কোন স্বাক্ষরও নিতে পারিনা। হালুয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, আমারা অনেক দুর্ভাগা। আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বাররা অধিকাংশই স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসর। তারা পলাতক থাকায় আমরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। মনাবাড়ি এলাকার আ: সাত্তার, আমৈর এলাকার সামসুল হক, গকুলদাশের বাগ এলাকার আমির হামজা, নয়ামাটি এলাকার আ: কুদ্দুস, ধামগড় এলাকার বিল্লাল ও কামতাল এলাকার আ: আইয়াল বলেন, আমরা এলাকার উন্নয়ন ও জন্মনিবদ্ধন, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ও ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ভোগান্তি শিকার হচ্ছি। মূল চেয়ারম্যান জেলে আর প্যানেল চেয়ারম্যানরা পলাতক থাকায় আমরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত। তবে আমাদের ইউনিয়নের ২/১জন বিএনপি মনা মেম্বার রয়েছে যদি তাদের এ দায়িত্ব দেতয়া হতো তবে হয়তো মূল চেয়ারম্যান জামিন পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা সেবা পেয়ে যেতাম। জন্মনিবন্ধন না করতে পেরে প্রাপ্ত বয়স হওয়ার পর অনেকের বিবাহ হচ্ছে না। ওয়ারশি সার্টিফিকেটর কারণে অনেকে জমির নামজারি করতে পারছেন না বলেও অনেকে অভিযোগ করেন। গতকাল রোববার সরে জমিনে গিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুলকে পরিষদে পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে ধামগড় ইউপি সচিব হাসান বলেন, আমরা সাধ্যমত জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে প্যানেল চেয়ারম্যান এক বাবুল মেম্বার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পরিষদে আসেন। তবে যাতে জনগণ সেবা পান সেই জন্য তিনি জনগণের সেবার জন্য ব্লাঙ্ক স্বাক্ষর দিয়ে গেছেন। তবে ব্লাঙ্ক স্বাক্ষরে দুর্নীতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। এ ব্যপারে জানতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল মিয়াকে একাধিক বার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি। এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইউপিনয় পরিষদ আইন মোতাবেক চেয়ারম্যান অসুস্থ্য বা অন্যত্র থাকলে জনগনের সেবা দিবে প্যানেল চেয়ারম্যান যা রেজুলেশনের মাধ্যমে করে রাখা হয়। কিন্তু ধামগড়ে অধিকাংশ চেয়ারম্যান মেম্বার আওয়ামী দোসর আমার জানা নেই। আর কোন চেয়ারম্যান ব্লাক স্বাক্ষর দিয়ে রাখা আইনগত বৈধ নয়। এটা অপরাধ। চেয়ারম্যানকে অবশ্যই পরিষদে থেকে জনগণকে সেবা দিতে হবে। তবে বিষয়টি আমি দেখছি।

ই-৩ পি-৪




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা