বেপরোয়া হয়ে উঠছে আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে আওয়ামীলীগ। প্রশাসনের কঠোর নজরধারীর অভাব ও রাজনৈতিক নেতাদের উদারতায় নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ দেশে অরজকতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কৌশলে আগাতে শুরু করেছে। পলাতক আওয়ামীলীগাররা নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে ঝটিকা মিছিল করে তাদের অস্তিত্ব জাহির করে চলেছে। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের একাধিক আওয়ামীলীগ কর্মী ও সন্ত্রাসী রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করে গ্রেফতারও হয়েছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে বহু আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের অবাধ চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। তবে তারা নাকি নিজ বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন না। তারা নিকট আত্বিয় বা রাজনৈতিক পরিয়ের বন্ধুদের আশ্রয়ে অবস্থান করছেন। এছাড়া বিএনপির কতিপয় নেতাদের ম্যানেজ করেও তারা নিজ নিজ এলাকায় রয়েছেন। তারা দিনের বেলা ঘুরে বেড়ালেও রাতে চলে যান আত্মগোপনে। যাতে তাদের পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারে। গত বছরের ৫ আগষ্টের পর পলাতক শেখ হাসিনার আওয়ামী দোসররা পালিয়ে যায়। পরে পাতি নেতারা বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈকি দলের নেতাদের ম্যানেজ করে নিজ এলাকায় ফিরে এসে কিছু দিন নিরব থাকলেও এখন তারা রং দেখাতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকতে বিরোধী মতকে দমন করতে আওয়ামীলীগ কর্মীরাই কেন্দ্রের নির্দেশে জ¦ালাও গোড়াও করে বিরোধী দলের উপর দায় চাপিয়ে নির্যাতন করতেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। আওয়ামীলীগ এখন সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। সে লক্ষে তারা রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে তাদের শক্তি পর্দশনের চেষ্টা চালাচ্ছে। আর প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে অনেকে গিয়ে ঐ সকল মিছিলে অংশ নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় পুলিশ এ পর্যান্ত ৫ শতাধিকের উপর আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী দোসর রয়েছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ২৪৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল আয়োজনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করলে ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। ডিএমপি জানায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ৫০ জন, সিটিটিসি ২৭ জন, তেজগাঁও বিভাগ ১০০ জন, রমনা বিভাগ ৫৫ জন, গুলশান বিভাগ ৫ জন, মিরপুর বিভাগ ৪ জন এবং উত্তরা বিভাগ ৩ জনকে আটক করে। এসময় স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় ১৪টি ককটেল ও ৭টি ব্যানার উদ্ধার করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম জানান, ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, আশ্রয়দাতা ও লোক সরবরাহকারীদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। এর আগে ধারাবাহিক অভিযানে ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ডিএমপি জানিয়েছে, রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং যারা নাশকতা বা অপতৎপরতায় জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।