আজ বুধবার | ২৩ জুলাই ২০২৫ | ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২৭ মহর্‌রম ১৪৪৭ | দুপুর ১২:০২

রাজনৈতিক মিত্র এখন শত্রæ

ডান্ডিবার্তা | ২২ জুলাই, ২০২৫ | ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দীর্ঘ দিন একসাথে রাজনীতি করে এখন সেই মিত্র রাজনৈতিক শক্রতে পরিনত হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর মিডর্ফোডে একটি বর্বর হত্যাকান্ডের পর তাদের বৈরিতা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এখন তাদের মধ্যে চলছে কাঁদা ছুড়াছুড়ি। উভয় দল বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে একে অপরের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য ও শ্লোগান দিয়ে যাচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রীয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যারা বিগত সময় ৪ দলীয় জোট হিসাবে একসাথে সরকার পরিচালনা করেছে। আজকে তারা মিত্র থেকে শক্রতে পরিনত হয়েছে। শুধু তাই নয় ২০২৪ সালের জুলাইয়ের আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে একসাথে রাজপথে ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। দলটির এক নেতার ভাষ্য, এই আন্দোলন কোনো একক দলের ছিল না বরং ছিল জনরোষের বহিঃপ্রকাশ। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে জামায়াত নেতাকর্মীরাও, যাদের অনেকে সে সময় গ্রেপ্তার হন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জের কারাগারে সেসময় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। নির্বিচারে গ্রেপ্তার চালানো হয়েছিল। ঢাকার আন্দোলনের সূতিকাগার ছিল নারায়ণগঞ্জ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া অনেক সমন্বয়ক আমাদের আশ্রয়ে ছিল। তাদের সিকিউরিটি নিশ্চিত করেছি আমরা। তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জ, কাঁচপুর, সাইনবোর্ড থেকে শুরু করে চাষাঢ়া পর্যন্ত আন্দোলন বিস্তৃত ছিল। প্রথমদিকে আমরা অল্প লোক নিয়ে মাঠে নামলেও পুরোটা সময় আমরা মাঠে ছিলাম। অনেক জায়গায় বিএনপির সঙ্গে আমরা আন্দোলন করেছি। আমাদের অনেক কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে, বিএনপিরও অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। মাওলানা জব্বার আরও বলেন, ১৯ জুলাইয়ের পর এটা আর বিএনপি বা জামায়াতের আন্দোলন ছিল না। এটা হয়ে ওঠে জনগণের আন্দোলন। যারাই ডেকেছে— সেই ডাকেই সাধারণ মানুষ সাড়া দিয়েছে। এটাই ছিল বাস্তবতা। তিনি এও বলেন, আমরা ক্রেডিটের রাজনীতি করি না। শহীদের তালিকা করে নিজেদের কৃতিত্ব দেখানো আমাদের অভ্যাস নয়। বাংলাদেশের সব শহীদই আমাদের শহীদ। আমরা শহীদ পরিবারের পাশে ছিলাম, আছি, এবং সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে থাকবো। এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মিডফুডের ঘটনাটি আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। আর এটাও একটি ষড়যন্ত্র বিএনপির বদনাম করার জন্য। যারা দীর্ঘ দিন বিএনপির সাথে থেকে বিএনপির সমমনা হিসাবে রাজনীতি করে আসছে। কিন্তু তারা এখন বৈরিতা শুরু করায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। জুলাই আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর একটি চক্র বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে ফাটল সৃষ্টির জন্য মিশন নিয়ে মাঠে নামে। সেই মিশন ষড়যন্ত্রকারীরা প্রায় সফল হয়েছে। বর্তমানে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। যা এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই মিত্র দলগুলির মধ্যে যদি বৈরিতা অব্যাহত থাকে তবে আগামী দিনের রাজনীতি ও নির্বাচন কঠিন হয়ে পড়বে। আর এ জন্য খেসারত দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। কারণ বর্তমানে দেশে অনির্বাচিত অন্তর্বতিকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে। তাদের অনেক কিছু সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে। আর একটি নির্বাচিত সরকার থাকলে তখন দেশের কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে সংসদে বসে তা দ্রæত নেয়া যায়। যার সুফল ভোগ করে দেশের জনগণ। এ জন্য স্বৈাচার ব্যতীত সকল রাজনৈতিক দলগুলিকে এক হয়ে দেশ ও জনগণের স্বাথে ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাজনীতির সদস্য সমাধান করে দেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়তা করাই এখন মূল লক্ষ্য। তা না হলে আবার স্বৈরাচররা দেশে অস্থিরতা করার সুযোগ পাবে। যা সম্প্রতি গোপালগঞ্জে করেছে। এ জন্য রাজনীতিতে ঐক্যমতের বিকল্প নেই।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা