
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিএনপি নেতাদের দীর্ঘ দিনের অভ্যান্তরীণ দ্ব›দ্ব ও বর্তমানে মনোনয়ন নিয়ে নতুন করে নেতায় নেতায় দ্ব›দ্ব এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। আগামীতে এ দ্ব›দ্ব সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে সদর-বন্দর আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী ও নেতাদের মধ্যে কাঁদাছুড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপি কার্যালয়ে শীর্ষ নেতাদের সামনে মাসুদুজ্জামানের দলের যোগদান নিয়ে কাদাঁছোড়াছুড়ি না হয় সেদিকে নজর রাখার আহবান জানিয়ে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। নব্য যোগদানকারী শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদকে ইঙ্গিত করে সেই বক্তব্যে মাত্র ২১ দিনে পাল্টে গেলে দৃশ্যপট। অন্যদিকে মহানগর বিএনপি তাকে নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশায় এক মঞ্চে থাকার আহবান উড়িয়ে দিলে মাসুদের সাথে মহানগর বিএনপি বিরোধী সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সদর-বন্দর আসন অঞ্চলে মাসুদুজ্জামান মাসুদের আগে থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। যার কারণে তিন প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াইয়ে এবার কাদাঁ ছুড়াছুড়ি পর্যায়ে হয়ে গেছে পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মাসুদুজ্জামান মাসুদের যোগদান অনুষ্ঠানে সিনিয়র নেতাদের সামনে সাহসী বক্তব্যে রেখেছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তিনি বলে ছিলেন, একটি কথায় যার আদর্শ প্রেরণায় সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমান যে নির্দেশ দিবে সেটা বাস্তবায়ন করতে আমরা শিরোধার্য। তিনি (মাসুদুজ্জামান) আসছেন তাকে অবশ্যই ওয়েলকাম জানাই। যে কোন যোগদানকে আমরা স্বাগত জানাই। যেহেতু আমার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কথা হলো যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে পরিশ্রমিক ছিলেন, তাদের রক্ত ঘামের সাথে বেঈমানী না করি। পাশাপাশি যেহেতু নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি একটি কমিটি আছে, যেই আসুক মাসুদ সাহেব নবাগত। এখানে অতিথিরা আছেন, তাকে নির্দেশ দিবেন দলের চেইন অব কমান্ড ভিতর থেকে সংগঠন পরিচালনা করতে আমাদের সহযোগিতা ও ভিতরে থাকেন। সামনে আসন্ন নির্বাচন, সেই নির্বাচন নিয়ে কাদাঁছোড়াছুড়ি কোন ভুল সিদ্ধান্তে কেউ যেন না এগিয়ে যায়। যিনি আসছেন, তার সাফল্যতা কামনা করি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব টিপু বিহীন নিজ বলয়ে রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন নব্য যোগদানকারী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে প্রতি নিয়ত মাসুদের একক আয়োজনে ক্ষোভ ঝাড়ছে মহানগর বিএনপি নেতারা। সদর-বন্দর আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বনাম বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মহানগর বিএনপির রাপজথে থাকা শীর্ষ নেতাদের বাকযুদ্ধে উত্তেজনা বিরাজ করছে। একে নির্বাচনের মাঠে নেমে একই দলের হয়ে একে অপরকে ঘায়েল করতে ব্যস্ত রয়েছেন। এতে করে দলের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার পাশা পাশি নিজেদের ইমেঝ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে সদর-বন্দর আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান পুরোদমে মাঠে নেমে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহাবয়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ টিপু মাঠে রয়েছেন। কিন্তু দুই পক্ষ একে অপরকে নিয়ে ঘায়েল করতে মন্তব্য করে যাচ্ছেন। পাল্টা পাল্টি বক্তব্যে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এই কালাচারাল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও নেতাদের মাছে ছিল। কিন্তু ২০২৪ সনের ৫ আগষ্টের পরেতো এখন আর ফ্যাসিস্টরা নেই। তাহলে তাদের কালাচারাল কারা ফিরিয়ে আলো। অপরদিকে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিগত ১০ বছর সদর-বন্দর আসনটি শিল্পপতিদের দখলে ছিল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ শাসনামলে এই আসনটি রাজনৈতিক নেতারা উদ্ধার করতে চেয়েও পারে নাই। ২০১৪ সনে থেকে এই আসনটি ব্যবসায়ী নেতা সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। যদিও তিনি জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছে। তবে তার কাছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা মূল্যায়ন পায় নাই। আগামীয় জাতীয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন সদর-বন্দর আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে দল গুছানোর সাথে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। একই সাথে এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া রাষ্ট্রমেরামতে ৩১ দফা প্রচার করে যাচ্ছেন শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তবে স¤প্রতি এই এমপির প্রার্থীর বক্তব্য এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবের মন্তব্য নিয়ে সমর্থকদের মাঝে উত্তাপ তৈরী হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে দীর্ঘদিন যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদেরকে হতাশ করে দিয়ে ৫ আগস্টের পর থেকে শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ ওরফে মডেল মাসুদ সদর-বন্দর আসনে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষের মনোনয়ন চাইছেন। স¤প্রতি জেলা মুক্তযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মাসুদুজ্জামান মাসুদ মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতার নাম না নিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন আমি বিএনপি করি কিনা। আমি ১৯৯৩ সনে যুবদলের নেতা ছিলাম। মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতা এড. সাখাওয়াত-টিপুর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চেয়ারে বসতে হলে চেহারা লাগে, যোগ্যতা লাগে। আন্দাজে বললেই হবে না। যারা এইসব কথা বলেন, তারা ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার নির্বাচন করে দেখেন, পাস করতে পারেন কিনা। মেম্বার অব পার্লামেন্ট ভিন্ন জিনিস। এইটার মানে আপনি যদি আমাকে বোঝাতে পারেন, তাহলে আসেন, আমি পেছনে চলে যাবো। ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সরদার। আমাকে চাইলেই আপনারা মিশায়া দিতে পারবেন না। মাসুদুজ্জামানকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, উনি তো রাজনৈতিকভাবে শিশু বাচ্চা। শিল্পপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। রাজনীতি কাকে বলে তিনি জানেন নাকি। ১৬ বছর সে কি করছিলো, কোথায় ছিলো? উনার জীবনে উনি কাউকে এমপি, কমিশনার মেম্বার বানাইছে? আমরা বানাইছি। টিপু বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম করলাম আমরা, তিনি এখন সুসময়ে এমপি হতে আসছে। কেউ কেউ এমপি হওয়ার পর গডফাদার হয়েছে আর তিনিতো নমিনেশন পাওয়ার আগেই গডফাদারের ভাষায় কথা বলতেছে। সে যে দলের থেকে মনোনয়ন আশা করে, সেই দলের অভিভাবকই আমাদের আহবায়ক ও সদস্য সচিব বানিয়েছে। সে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় অনেক বড় বড় কথা বলতেছে। টাকা না থাকলে উনার মত মাসুদুজ্জামান মাসুদের রাজনীতিতে কোন অস্তিত্বই থাকবে না। তাদের এসকল বক্তব্যে নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে। নেতাকর্মীরা বলেন, তারা দলের ক্ষতি করছে আর দলকে ডুবাচ্ছে। এদের সকলকে বহিস্কার করা উচিৎ।
ই
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জে আইনের শাসন কড়াকড়ি ভাবে প্রয়োগ না হওয়ার ফলে শহরে চলাচল সাধারণ নগরবাসীর জন্য এক বিড়ম্ভনা। শহরে ব্যটারি চালিত ইজিবাইক দিন দিন বাড়ছে। ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় পথচারিরা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছেন না। বন্ধন ও উৎসব বাসগুলি চেম্বার রোডের পুরোটাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দখল করে রাখে। রাত ৮টার পর থেকে শহীদ […]
মোবায়েদুর রহমান ক্ষমতার করিডোর থেকে যেসব পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো শুনে মনে হচ্ছে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেটি শেষ পর্যন্ত হয়তো কেটে যাবে। ঐকমত্য কমিশনের কার্যকালের সর্বশেষ মেয়াদ ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু জুলাই সনদ বাস্তবায়ন শেষ মুহূর্তে আটকে যাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা স্বয়ং বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন। তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো দেশে এমন […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯