আজ শনিবার | ১৮ অক্টোবর ২০২৫ | ২ কার্তিক ১৪৩২ | ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৭ | সকাল ৮:৪৬

না’গঞ্জে মনোনয়ন নিয়ে কাড়াকাড়ি

ডান্ডিবার্তা | ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯:২২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন পেতে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেছে। সকলেই বলে বেড়াচ্ছেন তিনিই মনোনয়ন পাবেন। নারায়ণগঞ্জে আসন হলো মাত্র ৫টি আর মনোনয়ন প্রত্যাশী অর্ধশত তা হলে সকলেই যদি সবুজ সংকেত পেয়ে মাঠে নামেন তাহলে কে পাবেন মনোনয়ন তা নিশ্চিত হওয়াটা মুশকিল। যারা মনোনয়ন চাচ্ছেন তাদের মধ্যে প্রবীন, নবীন ও তরুণ প্রার্থীরা রয়েছে। আর তারা সকলেই বলছেন বিড়ত সময় তারা অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। তবে মনোনয়ন নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে তেমনই নিজ দলের নেতাদের চলছে কুৎসা রটানো। কেহ আবার আওয়ামী দোসরদের কাছে টেনে সহায়তা চাচ্ছেন। দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃত্বে থাকা নেতারা তাদের মনোনয়ন নিশ্চিতে দলীয় পদবীর সাথে নির্বাচনী এলাকাসহ অঞ্চল ভিত্তিক সমর্থকদের ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু তারা দল গুছাতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তাদের মনোযোগ এখন এমপি হওয়া। সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ২০২৫ সালের ২৪ মার্চ মামুন মাহমুদকে আহŸায়ক ও মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়াকে প্রথম যুগ্ম আহŸায়ক এবং যুগ্ম আহŸায়ক করা হয় মাশুকুল ইসলাম রাজীব। পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে এই তিনজন নেতাকেই সাইনিং পাওয়ার দেয়া হয়। সাইনিং পাওয়ার আসার পর তাদের নিকট দায়িত্ব ছিল প্রতিটি ইউনিট ভেঙ্গে নবরূপে সাঁজানো যেটা দলীয় প্রধানের নির্দেশনা ছিল সেই সাথে জেলা বিএনপির সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়া। এদিকে এসকল কার্যক্রম থেকে দূরে থেকে জেলা বিএনপির সাইনিং পাওয়ারে থাকা প্রতিটি নেতা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হতে থাকেন। সেই সাথে সংগঠন নিয়ে চোখে পড়ার মত তেমন কার্যক্রম না করলেও নেতৃত্বে পাওয়ার পর থেকেই জেলার নেতারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় বলয় সৃষ্টি করে নির্বাচনী মাঠ পাকাপোক্ত করার মিশনে থাকতে যায়। জেলা বিএনপির অধীনে ৪টি আসন থাকলেও সেসকল আসনে জেলা বিএনপির নেতাদের কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। পৃথক পৃথক ভাবে জেলার সাইনিং পাওয়ারে থাকা নেতারা তাদের আসন কেন্দ্রীক নির্বাচনী প্রচার বলয় শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রধানত কাজ করেন। সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ-৩,৪ আসনে প্রার্থী হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহŸায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেই ছিল তার নির্বাচনী এলাকা ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে ফতুল্লা একক এবং সিদ্ধিরগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সীমানা পরিবর্তন হয়ে চলে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনেও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে দুটি আসনেই প্রার্থী হওয়ার আগে থেকেই তিনি ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় দলীয় কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। জেলা বিএনপির জন্য উল্লেখযোগ্য কোন প্রকার কার্যক্রম করেননি। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া তার নির্বাচনী এলাকা শুধুমাত্র রূপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলা বিএনপির নেতৃত্ব পাওয়ার পরবর্তী সময় থেকেই বর্তমানে তার নির্বাচনী এলাকায় শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যস্তময় সময় পার করছেন। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে থেকে জেলা বিএনপি নিয়ে কোন প্রকার মাথা ব্যাথা নেই বললেই চলে। যুগ্ম আহŸায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব জেলা বিএনপির নেতৃত্বে আসার পর পরই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হন। এরপর থেকেই জেলা বিএনপি নিয়ে তেমন সাংগঠনিক কার্যক্রম করেননি। দলীয় কর্মসূচি ছাড়া জেলার পক্ষে সাংগঠনিক গতি বাড়াতে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এদিকে জেলার শীর্ষ তিন নেতা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও আগামী নির্বাচনে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এগুলো নিয়ে ভাবছে জেলা বিএনপি শীর্ষ নেতারা। এছাড়া মহানগর বিএনপিতে হযবরল অবস্থা। কেই কাউকে মানছে না। সকলেই এমপি হতে চান। সম্প্রদি দলে যোগদিয়েও এমপি হতে চান। এ কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অবস্থা নাজুক।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা