নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হচ্ছে না’গঞ্জ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক ইস্যুতে মিছিল স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ। পদযাত্রা, পথসভা ও সভা সমাবেশে রাজপথ এখন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দখলে। প্রতিদিনই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ববিএনপিসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনগুলো। গতকাল সোমবার ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ফতুল্লায় শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল সমাবেশের পূর্বে সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রকে বলতে চাই যারা আমাদের হুমকি ধমকি দেয়, বাংলাদেশ ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে, কারও করুনায় নয়। আমাদের পূর্ব পুরুষরা লড়াই করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমরা যারা তাদের উত্তসুরী আছি, ৭৫’র পর যারা রাজনীতি করতে এসেছি, তারা মৃত্যুকে ভয় করি না। আপনারা আমাদের মৃত্যুর ভয় দেখান? শামীম ওসমান বলেন, গত রোববার আমাকে ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করো বলে তোর মৃত্যুর সময় চলে এসেছে। কাদেরকে ভয় দেখান? আমাদের মৃত্যুর ভয় দেখাইয়েন না। ২০০০ সালের ১৬ জুন আমাকে মারার জন্য বোমা হামলা করা হয়েছে। আমাদের ২০ জন লোক মারা গেছে। আমি বেছে আছি। আমি মনে করি আমি সেদিনই মরে গেছি। যে কয়দিন আছি মানুষের কথা বলবো। মানুষের জন্য কাজ করবো। এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজনীতিতে আসি নাই। বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাড় করানোর জন্য রাজনীতি করছি। তিনি আরও বলেন, ওরা আমাদের মানচিত্রে থাবা দিয়েছে। তবে শেখ হাসিনা হিমালয়ের মত শক্ত মহিলা। কোন ভাবেই তিনি মাথা নত করবেন না। সামনে অনেক আঘাত আসবে। আপনারা প্রস্তুত থাকবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীসহ ফতুল্লায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একদফা দাবিতে লাগাতার হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচী চালিয়ে আসছে বিএনপিসহ তাদের শরীক দলগুলো। ইতিমধ্যে, আন্দোলনরত বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং যে সকল নেতাকর্মী এখনো গ্রেফতার হয়নি তারা আত্মগোপনে থেকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় আন্দোলন চালিয়ে আসছে। জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক অগনতান্ত্রিক সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সরকার আবারো রাতের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে। আমরা সাধারন মানুষের ভোটের অধিকার ও গনতন্ত্র উদ্ধারে মাথায় কাফনের কাপড় পড়ে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি মতবেদ ব্যক্ত করেন।