মুখ থুবড়ে পড়ছে বিএনপির আন্দোলন!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপি আন্দোলন করে এগোতে পারছেনা। আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাদের আন্দোলন দৃশ্যমান হচ্ছে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া। কর্মীরা মাঝে মধ্যে চোরাগুপ্তা রাস্তায় এসে ১৫/২০ মিনিটের মিছিল করে দ্রুত ছটকে পড়ে। কিন্তু আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক দল হলেও তাদের আচরণ এখন জঙ্গি সংগঠনের মত দেখা যাচ্ছে। তারা এখন গণ আন্দোলনে নেই আছে তাদের আন্দালোন ফটোস্যাশনে বন্দি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালিন যারা বিএনপির সুবিধাভোগ করেছে তারা এখন মাঠে নেই। মাঠে যে ক’জন রয়েছে তারা শুধু কর্মী সমর্থক। বিএনপির দাবি তাদের সাথে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে তার পরেও তারা আন্দালনে একেবারেই গাছাড়া। তারা জনসমর্থনকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ বরে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। একাধিক বিএনপি নেতা মাঝে মধ্যে অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, তারা মাঠে রয়েছে তবে গ্রেফতার এরাতে তারা কৌশল অবলম্বণ করেছে। বিএনপির দাবি তাদের আন্দোলন যৌক্তিক। তারা ক্ষমতার জন্য আন্দোলন করছেন না। তারা সাধারণ জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন করছেন। তারা আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামীলীগ হিংস হয়ে উঠেছে। দেশটাকে কারাগারে পরিনত করেছে। দেশের মানুষ শান্তিতে নেই। এদেশে যারা শুধু আওয়ামীলীগ করে তারাই শুধু সুবিধাভোগ করছে। আর সাধারণ মানুষ আওয়ামীলীগের অন্যায় অত্যাচারে পিষ্ট হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মানুষ যেন এক বন্দিশালায় বসবাস করছে। কিন্তু তারা রাজপথে নামতে পারছেনা। আওয়ামীলীগের আজ্ঞাবহ পুলিশ তাদের নামতে দিচ্ছে না। তবে এর একটা শেষ আছে। এই স্বৈরাতন্ত্রের অবসান হবেই। আমরা আন্দোলনে আছি থাকব। এদিকে সরে জমিনে দেখা যায়, বিএনপির কোন নেতাই রাজপথে নেই। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত চাঙ্গা থাকলেও বিএনপির মহাসচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেফতার হওয়ার ২৯ অক্টোর থেকে আস্তে আস্তে রাজপথ থেকে লাপাত্তা যায়। তাদের আর দেখা মিলছে না। গত মাসে বিএনপি যেভাবে আন্দোলনে ছিল এখন তারা একেবারেই নিরুদ্দেশ। সে সময় তারা বলেছিল পুলিশের কত গুলি আছে আমরা বুক পেতে দিব তবু রাজপথ থেকে আমাদের হটাতে পারবেনা। কিন্তু তারপরও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু রাজপথে থাকার চেষ্টা করেছে। সে গ্রেফতার হওয়ার পর আর কেহ রাজপথে নামতে পারেনি। আজ সেই সকল নেতা গিয়াসউদ্দিন, খোকন, সাখাওয়াত, মুকুল, সেন্টু, হাজী নুরুদ্দিন, আজাদ, দিপু, কাজী মনিরের মত নেতারা লাপাত্তা। আর তাদের অনিহার কারছে বিএনপির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এদিকে মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী মালা আন্দোলন ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বিএনপি আন্দোলনে একেবারেই কাঁচা। সে ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ আন্দোলনে পাকা খেলোয়ার। আওয়ামীলীগ হটানোর আন্দোলনে বিএনপি এখন পর্যন্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। তবে সামনের দিন গুলিতে কি হয় তা এখন অপেক্ষার বিষয়। তবে বিএনপি যদি সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারে তবেই তাদের আন্দোলন সফল হতে পারে।