নির্বাচনী হিসাব কষছে আ’লীগ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শহর-বন্দর আসন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। গত রবিবার দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে যে দুটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি তার মধ্যে এটি একটি। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। তবে সদর-বন্দর আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। তাই আসনটি নিয়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা নানা হিসাব কষছেন। জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করা জাতীয় পার্টির দখলে রয়েছে। ২০১৪ সালে এ আসনের চারবারের সাংসদ নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে তারই ছোট ভাই ব্যবসায়ী নেতা সেলিম ওসমানকে মনোনয়ন দেয় জাতীয় পার্টি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। তারপরও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ এস এম আকরামের সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে নির্বাচিত হন সেলিম ওসমান। এরপর একাদশ সংসদ নির্বাচনেও জয়লাভ করেন তিনি। এ আসন থেকে এবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি আশাবাদী সেলিম ওসমান। গত রবিবার সন্ধ্যায় বিকেএমইএ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমার নেত্রী (শেখ হাসিনা) যে অবস্থান থেকে নির্বাচন করার নির্দেশ দেবেন, সেই নির্দেশই পালন করব। দলীয় পরিচয়ের চেয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার কাছে মুখ্য। জাতির পিতার আদর্শ অনুযায়ী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আরও কিছু কাজ করতে চাই।’ এদিকে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার তার পৈতৃক নিবাস রূপগঞ্জ থেকে দলের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত শুক্রবার বিকেলে রূপগঞ্জে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় তিনি বলেছেন, ওই আসন থেকে তিনি তৃণমূল বিএনপির ‘পাট’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। কিন্তু রবিবার আওয়ামী লীগ ওই আসনে বর্তমান সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজীর নাম ঘোষণা করে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে তৈমূর আলম এখন কী করবেন। তার ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ সদর-বন্দর আসনে তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেয়নি, সেহেতু সেখানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলমকে আসনটি ছেড়ে দেবে। অন্যদিকে সদর-বন্দর আসন নিয়ে আশাবাদী আওয়ামী লীগও। এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহকারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করে আসছিলাম। অবশেষে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে দলীয় লোককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তার জন্য আমরা নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অবশিষ্ট আসনটি শেষ পর্যন্ত কাকে দেওয়া হবে, তার এখতিয়ার এককভাবে নেত্রীর ওপর।’