হতাশা কাটছেনা বিএনপির!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট হাতাশ কাটিয়ে উঠতে চায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলীয় কোন্দল কাটিয়ে তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নতুন উদ্যমে রাজনৈতিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় দলের হাই কমান্ড। এ লক্ষ্যেই বর্তমান জেলা ও মহানগর বিএনপি তৃনমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে দলের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে, এক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে দলের ভিতরে ঘাঁপটি মেরে থাকা সরকারদলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে কতিপয় বিএনপির নেতা। সরকারীদলের সাথে আঁতাতকারী কতিপয় বিএনপি নেতার মিশনই হচ্ছে বিএনপির ভিতরে কোন্দল সৃষ্টির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মাটি থেকে দলটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলা। এদিকে স্থানীয় সাধারন নেতা-কর্মীরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে দলের কোন দায়িত্বশীল নেতার সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করতে না পারায় বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অনেকটা নেতৃত্ব হীনতার মধ্যে রয়েছে। তবে বর্তমানে যারা বিএনপির রাজনীতিকে গতিশীল করতে চায় তাদের সাথে বিগত দিনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে তেমন কোন যোগাযোগ না থাকায় নেতাকর্মীরা তাদের কাছে যাচ্ছে না। তবে যে সমস্ত নেতারা দলের দু:সময়ে দলীয় কার্যালয় খোলা থেকে শুরু করে বিএনপির রাজনীতিতে প্রান ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা চালাচ্ছে সে সমস্ত নেতাদের কর্মীরা কিভাবে মূল্যায়ন করবে এ নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিএনপির তৃনমূলে। তবে দলের ক্রান্তিকালে দ্বায়িত্ব পালনকারী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। এ ছাড়া যারা দলের দু:সময়ে ফেইসবুক কিংবা আত্মগোপনে থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মরিয়া ছিল সে সমস্ত নেতাদের প্রতি আস্থাহীন হয়েছে পরেছে বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। আগামীদিনে তাদের নেতৃত্ব নিয়েও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জর মুখে পরবে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। তবে বিএনপি নতুন করে ঘুরে দাড়াতে হলে নেতৃত্বের পরির্বতণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল। তথ্যমতে, নারায়নগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতাশা কাটিয়ে উঠতে নতুন করে পথ খুজতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন আন্দোলনের মাঠে থাকা নেতারা নিজ বাড়ি ঘর ছাড়া অনেক দিন ধরে। সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামী হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করছে অনেক নেতাকর্মীরা। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এছাড়া দলীয় প্রধান খালেদাজিয়াও আন্দোলন ছেড়ে নিজ ঘরে ফিরে বলতে গেলে বন্দী জীবন অতিবাহিত করছেন। আর এ কারনেই বিএনপির নেতাকর্মীরাও নিজ ঘরে ফিরে আসতে এবং বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এখনো আত্মগোপনে থাকায় বিএনপির তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অনেক নেতৃত্বহীনতার মধ্যে রয়েছে। কার নিদের্শে কিভাবে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হবে এ নিয়ে রয়েছে নানা দ্বিধাদ্বন্ধ। তবে দলের দু:সময়ে যারা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করা থেকে শুরু করে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে চাঙ্গা করতে দলীয় কার্যালয় খোলে দেয়া এবং নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে তাদের যথাযথ মূল্যায়ণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। এছাড়া বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনে যারা নিজেকে রক্ষা করতে আতাতের রাজনীতি চর্চা, নিজেকে রক্ষা আত্মগোপনে গিয়ে ফেইসবুকে ব্যস্ত সময় পার করেছে সে সমস্ত নেতাদের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে বলে মনে করছে বিএনপির তৃনমূল। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে সরকার বিএনপি-জামাত জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে বিভিন্ন ধরনের নাশকতা চালিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চর করে । তবে প্রশাসন ও ক্ষতাসীন দলের কঠোর হস্তক্ষেপে নাশকতা প্রতিরোধে সক্ষম হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে নারায়ণগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি। চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে নতুন করে হিসেব কষতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। তবে এ হিসেবটা বেশী কষতে থাকে বিএনপি-জামাত জোটের নেতাকর্মীরা। হিসেবে দৌড়ে পিছিয়ে থাকেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। এবারের সরকার বিরোধী আন্দোলন সফল হলে পরবর্তী অবস্থান কী হবে এবং আন্দোলন ব্যর্থ হলেও কী হবে এ নিয়ে ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা চুলচেড়া বিশ্লেষন শুরু করেছে। তবে আন্দোলন শুরুর পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের মুষ্টিমেয় কিছু নেতাকর্মীরা ছাড়া বাকীরা অনেকটা আড়ালে রয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের যে সমস্ত নেতারা বিএনপি-জামাত জোটের সরকার বিরোধী আন্দোলনে রহস্য জনক ভূমিকা কিংবা নিরবতা পালন করেছে তাদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সে রিপোর্ট অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানাগেছে।