আ’লীগের গলার কাটা তৃণমূল বিএনপি!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট তৃণমূল বিএনপির আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করার খবরে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের মধ্যে অস্থিরতা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার দেখা দিয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে বলেছে, দলীয় স্বার্থে প্রয়োজন হলে যেন তৃণমূল বিএনপি বা জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের অন্য জেলা থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদনও করেছেন তৃণমূল বিএনপি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তৈমূর আলম খন্দকার বুধবার বলেছিলেন, ‘আমি গত মঙ্গলবার আমার গ্রামের বাড়ি রূপগঞ্জ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। এ ছাড়া আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ আসন থেকে আবু হানিফ হৃদয়, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসন থেকে অ্যাডভোকেট আলী হোসেন, সদর-বন্দর আসন থেকে অ্যাডভোকেট ভাসানী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের প্রতিটি আসন থেকেই আমাদের তিন থেকে পাঁচজন করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন। তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়েছি, সেহেতু জোটপ্রধান শেখ হাসিনা আমাকে এবং আমাদের দল থেকে যাকে যে আসনে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন, আমরা তা মেনে নেব। ইসিতে আবেদন করে আমরা জোটভুক্ত হয়েছি।’ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে ইচ্ছুক একাধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মিলে নির্বাচনী জোট গঠন করে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে পারে। জোটভুক্ত দলগুলো জোটের শরিক যেকোনো দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারে। তৈমূর আলম খন্দকার এরই মধ্যে রূপগঞ্জ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি এই আসনে বেশ জনপ্রিয়। কর্মী বান্ধব হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ‘আমরা এ বছর পাঁচটি আসনেই নৌকা প্রতীক চাই। জাতীয় পার্টি কিংবা তৃণমূল কাউকে দলীয় নেতাকর্মীরা মেনে নেবেন না। আমাদের দলীয় সংসদ সদস্য এবং যাঁরা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করতে চান, তাঁরা সবাই এলাকায় জনপ্রিয়। তৃণমূল বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টিকে অন্য যেকোনো জেলা থেকে দলীয় স্বার্থে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য আমরা দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছি।’ এদিকে গত ১৫ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষনেতারা তাদের বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়ার আবেদন জানিয়ে আসছেন দলের হাই কমান্ডের কাছে। রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত এমপি থাকলেও সোনারগাঁ ও সদর-বন্দর আসনে জাতীয় মনোনীত এমপি। এবার তারা আশা করছেন ৫টি আসনেই আওয়ামীলীগের প্রার্থী দেয়া হবে। এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হচ্ছে, দুটি আসন জাতীয় পাটি আর তৃণমূল বিএনপিকে দেয়া হবে. নাকি আওয়ামীলীগ নিয়ে নিবে। এ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।