
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের মধ্যে করো সাথে কারো সুসম্পর্ক নেই বললেই চলে। নেতায় নেতায় দ্ব›দ্ব আর কর্মীদের প্রতি অবহেলার কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আন্দোলন তেমন একটা জোরদারতো দূরের কথা আন্দোলন অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। নেতারা গ্রেফতারের ভয়ে গাঁঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে থাকলেও কর্মী সমর্থকদের সাথে একে বারেই বিচ্ছিন্ন বলা চলে। অনেক দিন পর জেলা ও মহানগর বিএনপির দুই নেতাকে ঢাকার রাজপথে ফটোস্যাশনে দেখা গেলেও আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে তারা নেই বললেই চলে। কেউ কেউ আবার ক্ষমতাসীনদের সাথে লিয়াজো রেখে নিজ বাড়িতে বা নিরাপদ আশ্রয়ে থাকলেও নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না রেখে আত্মগোপনে থেকেই একজন আরেকজনকে ল্যাং মারার পরিকল্পনা করছে। যে করণে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ এখন অনেকটাই আন্দোলন মুক্ত। যদিও মাঝে মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা কয়েক মিনিটের জন্য মাঠে নেমে আন্দোলনে থাকার জানান দিচ্ছে কিন্তু নেতাদের তেমন একটা দেখা পাচ্ছে না কর্মীরা। এর প্রমান পাওয়া যায় মাঠ পর্যায়ের বিএনপির একাধিক ত্যাগী কর্মীর মুখ থেকে। তাদের বক্তব্য নিজের নামের আগে ‘অধ্যাপক’ পদবীও যুক্ত করে থাকেন। যদিও ওই পদবী নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও বিভিন্ন সময়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মামুনের সাথে এই ধারায় যোগ দিয়েছেন ফতুল্লার পদবঞ্চিত জাহিদ হাসান রোজেল ও কুতুবপুরের পদবঞ্চিত নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা। সময়-সুযোগ বুঝেই রাজপথেই নামেন তারা। অপরদিকে জেলা বিএনপিতে আরেকটি ধারা বেড়ে উঠেছে আড়াইহাজারের বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমান সুমনের মাধ্যমে। তার সাথে রয়েছেন যুবদল ও ছাত্রদলের গুটিকয়েক নেতা। যদিও সুমনের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আঁতাতের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে মামলা-হামলা থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখেন তিনি, তবে কোন্দল তৈরি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেননি তিনি। জেলা বিএনপির মূল ধারা হিসেবে পরিচিত সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের বলয়। জেলার অধিকাংশ নেতাকর্মীই এতে সম্পৃক্ত। যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও এই মূল দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কমান্ড মেনেই রাজনীতি করছেন। তবে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে গড়ে ওঠা অন্যান্য ধারাগুলোর কারণে আখেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিএনপি। প্রায়ই আলাদা ব্যানারে বা পৃথকভাবে গুটিকয়েক নেতাকর্মী নিয়ে জেলা বিএনপির কমান্ডের বাইরে গিয়ে কিছু নেতা কর্মসূচি পালন করায় বিব্রত হতে হচ্ছে মূল ধারাকে। এতে করে অনৈক্যের বার্তাও যাচ্ছে কেন্দ্রে, যা নিশ্চিতভাবেই বিএনপির অলআউট আন্দোলনে প্রভাব ফেলবে। জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, দেশের মধ্যে সর্ব বৃহত্ত রাজনৈতিক দল বিএনপি। বড় দলে মণ মালিন্য থাকবেই তবে কোন্দল নেই। দলে যদি বিবেদই থাকতো তাহলে সরকার “র্যাব-পুলিশকে ব্যবহার করে সরকার আমাদের নেতা”কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের নেতা-কর্মীরা যেভাবে মাঠে থেকে কর্মসূচী পালন করে আসছে তা আমাদের জন্য গর্বের। তাছাড়া আমাদের কর্মসূচি সফল করছেন, সেটিই আমাদের শক্তির জায়গা। নেতাকর্মীদের এই শ্রম এবং ত্যাগ বৃথা যাবে না,” তিনি বলেন। এদিকে মাঠে থেকে নেতা-কর্মীরা সক্রিয়ভাবে কর্মসূচি পালন করছে বলে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও বাস্তবে তাদের উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায়নি। বরং গ্রেফতার এড়াতে বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে হরতাল-অবরোধ এখন অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, “সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই আমরা হরতাল-অবরোধ পালন করে আসছি। আমাদের এসব কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষকে জানানো এবং এটা বোঝানো যে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিকল্প নেই। এই বার্তাটা আমরা গণমানুষের কাছে সফলভাবে পৌঁছে দিতে পারছি বলেই মনে করি,” তিনি বলেন। এদিকে, এক মাসের বেশি সময় ধরে একই কর্মসূচি দেওয়াকে বিএনপির নের্তৃত্বের দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গত ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। দলটির গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ নেতাই এখন জেলে। ফলে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের নেতৃত্বের শূন্যতা দেখা দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। শীর্ষ নেতারা বাইরে থাকলে হয়তো সবাই মিলে নতুন কর্মসূচি ঠিক করতে পারতো।” টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বিএনপির জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও দলটি একটানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। তবে সেটি এখন থেকে আট বছরেরও বেশি সময় আগে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করার পর ২০১৫ সালে ওই নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিতে টানা নয় মাস হরতাল-অবরোধ পালন করেছিল দলটি। ঐ হরতাল-অবরোধ এক পর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। একের পর এক বাসে আগুন ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের মতো ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তখনও একটানা হরতাল-অবরোধ চলতে থাকার এক পর্যায়ে কর্মসূচিগুলো কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। এবারের নির্বাচনের অনেক আগে বিএনপি তাদের সমমনা দলগুলি সম্মনয়ে আন্দোলন শুরু করে। সভা সমাবেশ করে দলকে যখন গুছিয়ে আনছিল ঠিক সেই সময় ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে পুলিশী এ্যাকশানের পর শুরু হয় ধরপাকড়। কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতারা গ্রেফতার হলেও আন্দোলনের সূতিকাগার হিসাবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের পদ পদবীধারী নেতারা অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত করে নিরাপদে থাকলেও কেহই কর্মীদের কোন দিক নির্দেশনা না দিয়ে নিজেদের মধ্যে গুপিং আরো চাঙ্গা করতে ব্যস্ত। যে করেণে সকল সুযোগ সুবিধা থাকা স্বত্বেও নারায়ণগঞ্জে বিএনপি আন্দোলন তেমন জোরদার করতে না পারায় দলের কর্মীরা সমর্থকরা দিনি দিন হতাশ হয়ে পড়ছে। যার ফলে নারায়ণগঞ্জে আন্দোলন সংগ্রাম এখন অনেকটাই কাগজে বাঘে পরিনত হয়েছে।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯