না’গঞ্জ বিএনপির ভীত নড়বড়ে!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে বহিস্কার করার পর দলের মধ্যে দুবর্লতা দেখা দিয়েছে। এ মুহুর্তে দল গোছাতে না পারলে সামনে আরো কঠিন সময়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নাস্তানাবুদ হয়ে যাবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। দীর্ঘ দিন ধরেই পদ-পদবীর জন্য নেতৃবৃন্দ একে অপরের উপর কাদা ছুড়াছুড়ির মাধ্যমে দলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যে সকল নেতৃবৃন্দ দলের স্বার্থে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন তাদেরতো আর পদবীর প্রয়োজন নেই বরং ব্যক্তি ইমেজকে রাজনৈতিক ময়দানের ব্যবহারের মাধ্যমে দলের অস্তিত্বের জাগান দেয়া সম্ভব। কিন্তু মহানগর বিএনপির আহŸায়ক কমিটি ঘোষনার পর পরই আশানুরূপ পদবী না পাওয়ায় কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দ আন্দোলন করছে এমনকি দলীয় কর্মসূচীও আলাদাভাবে পালন করছে। আর এতেই ধারনা করা যায়, দলকে নয় বরং পদের লোভে বসবীত হয়ে বিএনপির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ রাজনীতি নামক রাজার নীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছেন। আর এ কারনে বৃদ্ধি পাচ্ছে দলীয় কোন্দল। কোন্দলের কারনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়াসহ এর প্রভাব গিয়ে তৃনমূল রাজনীতিতে আচড়ে পড়ছে। নির্বাচনের আগে যে আন্দোলন হলো তাতে তারা সুবিধা করতে পারেনি। নির্বাচনের পর বিএনপি তেমন সুবিধা করতে পারবে বলেও মনে হয় না। সূত্রে জানা যায়, দলীয় বিরোধে পিছিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। দলকে সাংগঠনিক ভাবে এগিয়ে নিতে কাজ না করে কী ভাবে দলের মধ্যে বিরোধ ধরে রাখা যায় দলের কিছু নেতা সে কাজই করে যাচ্ছে এমন অভিযোগ বিএনপির সাধারন নেতাকর্মীদের। কর্মীদের দাবি, বিএনপির বিরোধ দিনে দিনে বেড়েই চলছে। কোন নেতা উদ্যোগ নিয়ে এ বিরোধ কমানোর কোন চেষ্টা না করে কী ভাবে এ বিরোধ আরো বেশী বৃদ্ধি পাবে নেতারা সে কাজই করে যাচ্ছে। তবে দলের মধ্যে এ অবস্থা চলতে থাকলে বিএনপির জন্য সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হয়ে উঠবে। আর এর জন্য দায়ি থাকবে দলের শীর্ষ নেতারা। তবে বিএনপির নেতৃত্বে পরিবর্তনের পাশাপাশি দলকে তৃনমূল থেকে সাজানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টরা। দলের অপর একটি সূত্রে জনাগেছে, অচিরেই তৃনমূল থেকে দলকে গোছানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। যারা দলের মধ্যে সক্রিয় ও মাঠ পর্যায়ের নেতা রয়েছে তাদের সঠিক মূল্যায়নের মধ্যদিয়ে দলের পূর্নগঠনের কাজ শুরু হবে। দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা ও মহানগর বিএনপির আহŸায়ক কমিটিকে পূনাঙ্গ কমিটিতে রূপান্তর করা হবে। পূনাঙ্গ কমিটি করাকালীন সময়ে ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে গ্রহনযোগ্য কমিটি করা হবে বলেও নিশ্চিত করা হয়। এদিকে বিএনপির তৃনমূলের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি সাংগঠনিক ভাবে দূবর্ল ও পিছিয়ে পরার পেছনে দলের শীর্ষ নেতাদের বিরোধই দায়ি। দলের শীর্ষ নেতারা বিরোধে জড়িয়ে যাওয়া দলের সাংগঠনিক ভীত নড়বড়ে হয়ে পরেছে। নেতারা বিরোধে লিপ্ত থাকায় দলের সাধারন নেতাকর্মীদের কাছ থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এই বিরোধের কারণে অনেক নেতাকে এখন আর প্রকাশ্যে দেখা যায় না। দলীয় কর্মীরা ধীরে ধীরে দলের শীর্ষ নেতাদের উপর থেকে আস্থা হারাতে শুরু করেছে। কর্মীদের অভিযোগ, যারা দলের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি করছে এসব নেতাদের অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের নেতা এমপিদের সাথে বসে সভা-সেমিনারে অংশ নিচ্ছে। আর যারা দলের হয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তাদেও অনেকে এখনো ঘর ছাড়া, স্বজনদের কাছ থেকে অনেক দূরে বসবাস করছে। তবে দলের এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য দলের নেতৃত্বে পরির্বতণ এখন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। এছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।