চাটুকারদের দাপটে কোনঠাসা তৃনমূল!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে ক্রান্তিকাল সময় চলছে। দীর্ঘদীন ধরে ক্ষমতার বাহিরে থাকার নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বিএনপির রাজনীতিতে রাজপথে থেকে দলের নেতৃত্ব প্রদান করবে এমন নেতা নেই বললেই চলে। রাজপথে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সাহসী নেতার সঙ্কটের কারণে রাজপথে নামতে অনীহা প্রকাশ করছেন দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। যারফলে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যেসকল সহসী নেতা রাজপথে কর্মীদের চাঙ্গা করতে কাজ করছেন তাদেরই কোনঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির পদধারী বেশ কয়েকজন নেতা। যারা ক্ষমতাসীনদলের সাথে আতাঁত করাসহ নিজের বলয়কে শক্তিশালী করতে সহসী নেতাদের কোনঠাসায় ফেলছেন। জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে পল্টিবাজ নেতাদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই বলছে। নিজস্ব স্বার্থ হাসিল করতে পল্টিবাজরা ভোলপাল্টে ফেলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এতে করে কর্মীরাও এখন বিরক্ত। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে পল্টিবাজ নেতাদের কারণে দলের মধ্যে দ্বন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সাথে আতাঁত করে রাজনীতি করছেন বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অবস্থান শক্ত করতে যারা সক্রিয় ছিলেন তারাও এখন অনেকটা নিশ্চুপ রয়েছেন। কর্মীরাদের রাজপথে সক্রিয় করতে যে সকল সাসহী নেতারা রাজপথে ছিলেন তারা এখন বেকায়দায় রয়েছেন সুবিধাবাদির দাপটের কারণে। জেলা ও মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি ঘোষনার আগে বিএনপির পদে থেকেও যে সকল নেতৃবৃন্দ ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত করার তালিকায় রয়েছেন অনেক নেতৃবৃন্দ। এর মধ্যে কেন্দ্র সরকার দলের সাথে আতাঁতের অভিযোগ এনে মহানগর বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দকে করা হয়েছে দল থেকে বহিষ্কৃত। এছাড়াও নিজেদের বলয়কে শক্তিশালী করতে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর বিএনপি নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। আর রাজপথে সক্রিয় থাকায় অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন মহানগর বিএনপির আহŸায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। তবে তিনি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের একজন পরীক্ষিত নেতা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তিনিই নেতাকর্মীদের রাজপথে চাঙ্গা করতে নানা উদ্যোগ নেন। যার ফলে তিনি শত বাঁধা বিঘœ উপক্ষো করে রাজপথে দুর্বার আন্দোলনে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে থাকেন। তাছাড়াও দলীয় কর্মসূচীতে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তুলনায় প্রায় কয়েকগুণ বেশী নেতাকর্মী নিয়ে রাজপথে শোডাউন করেন সাখাওয়াত। বিএনপির নেতা সাখাওয়াতের ডাকে যে কোন কর্মসূচি লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। তাই সাখাওয়াত প্যারালাল কর্মসূচি পালন করছে বলে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের কাছে অভিযোগ করছেন সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। এতে করে অনেকটা নিশ্চুপ হয়ে পড়েন সাখাওয়াতের অনুসারিরা।