অযোগ্যদের দখলে না’গঞ্জ বিএনপি!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির এখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। নেতায় নেতায় দ্ব›দ্ব আর কোন্দলে জর্জরিত মূলদলসহ প্রায় প্রতিটি অংঙ্গ সংগঠন। যে কারণে পুরোপুরি হতাশ তৃনমূলের সকল নেতাকর্মী। তৃর্নমূল নেতাকর্মীদের দাবি বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার পতন আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। নেতায় নেতায় কোন্দলের কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনমুখি হলেও নেতাদের কোন্দলের কারনে মাঠে নামতে আগ্রহী হচ্ছে না। যে কারণে নারায়ণগঞ্জে মাঠ পর্যায়ে বিএনপির সমর্থক থাকা সত্বেও আন্দোলন সংগ্রামে তেমন কোন ভূমিকা পালন করতে পারছে না। এজন্য সাধারণ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দায়ি করে বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে পদ পদবী ভোগ করবেন তারা আর আমরা সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হবো এমন রাজনীতি না করাই ভাল। যে কারণে অনেকেই বিএনপি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির তেমন কোন ভূমিকা পালন করতে না পারায় মাঠ পর্যায়ের সমর্থকরা এখন হতাশায় ভুগছে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তৃনমূলের একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, ভুল নেতৃত্বের হাতে জেলা বিএনপি তুলে দিয়ে প্রথম ভুলটি করেছে দলীয় হাইকমান্ড। যে কারনে বিএনপির তৃনমূল হতাশ এবং জেলা কমিটিও তৃনমলকে ঐক্যবদ্ধ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। তাছাড়া এতদিনেও তারা জেলা শহরের প্রান কেন্দ্রে একটি দলীয় কার্যালয় স্থাপনসহ দলের অন্যান্য অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের এক ছাতার নিচে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা আরও বলেন, বর্তমান কমিটি কতটুকু সফল তা দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্ববর্তী মুহুর্তের আন্দোলনের দিকে তাকলেই অনুমেয়। তাছাড়া অযোগ্যদের মাধ্যমে গঠন করা হয়েছে জেলা বিএনপির কমিটি এমনটিই অভিযোগ করেন তারা। যে কারনে দলীয় আন্দোলনে সফলতার মুখ দেখতে পারছে না জেলা বিএনপি। অন্যদিকে একই কমিটির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ না হয়েও এতবড় পদ পাওয়ার পর কেমন যেন পাল্টে গেছেন। তিনি দলীয় রাজনীতিটাকে সীমাবদ্ধ করে একটি বৃত্তে আটকে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এসব কারনে কমিটির দায়িত্বশীল একটি বিরাট অংশ বেশ কিছুদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় দলটি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব নির্ধারনেও দলীয় হাইকমান্ড অনেক বড় ভুল করেছে দাবি তৃনমূলের। তাদের মতে এ কমিটির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খাঁন কখনোই কর্মী বান্ধব নেতা ছিলেন না, এখনও নেই। সেভেন মার্ডারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আইনজীবি হিসেবে তিনি নিয়োগ পাওয়ায় দেশব্যাপি আলোচনায় আসেন তিনি। তিনি এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি করে আসছেন বলে দলের কর্মীদের অভিযোগ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মহানগরের মত এতবড় একটি সংগঠনের গুরুদায়িত্ব পালন করার মত কোনো যোগ্যতা এই নেতার মধ্যে নাই। তবে একই কমিটির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হলেও কোনোভাবেই তিনি কর্মী বান্ধব নেতা নন। যার ফলে এদের দ্বারা দলীয় ফলাফল এখানও শূন্যই বলা চলে। তবে নব গঠতি জেলা ও মহানগর যুবদল নিয়ে তৃনমূলের খুব একটা অভিযোগ না থাকলেও রয়েছে জেলা ছাত্রদল ও ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটির বিরুদ্ধে। তাদের মতে, যেকোন রাজনৈতিক সংগঠনের প্রাণ শক্তি হচ্ছে ছাত্রদল। অপরদিকে, বর্তমান ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটির মধ্যে নেতায় নেতায় দ্বন্ধ বিরাজ করে আসছে। দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। তবে, এক্ষেত্রে উল্টো চিত্র দেখা গেছে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর ক্ষেত্রে। জীবনের ঝুঁকি থাকা স্বত্তে¡ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে তাকে সরব থাকতে দেখা গেছে। সার্বিক দিয়ে নারায়গঞ্জে বিএনপির রাজনীতি বেহাল অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে।