বিনা ভোটের সুযোগ হলোনা!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপডজেলা নির্বাচনে যেমন উড়ছে টাকা তেমন চলছে কুট কৌশল ক্ষমতাসীনদের। এবার প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ঘায়েল করতে দেয়া হয়েছে সাজানো মামলা এমন অভিযোগ খোদ আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার। তিনি মাকসুদের সমর্থক হিসাবে পরিচিত। যা নিয়ে বন্দরের সর্বত্র চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। আগামী ৮ মে বন্দর উপজেলার ভোট গ্রহণ। আর এখন চলছে পুরোদমে প্রচারনা। প্রার্থীরা এক মুহুর্তের জন্য বসে নেই। ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন সর্বত্র। একটু সময় নষ্ট করতে চান না তারা। ভোটের আরমাত্র কয়েকদিন বাকি এখনো ক্ষমতাসীনরা বিনা ভোটের আশা ছাড়েনি। কোন রকম কুট কৌশল করে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ঘায়েল করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়া যায় সে পথও বেছে নিতে বাদ দেননি। নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার রক্তের সাথে মিশে আছে আওয়ামীলীগ। আমি আওয়ামীলীগের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। কিন্তু বন্দরে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা দলকে শক্তিশালী না করে নিজেদের আখের ঘোছাতে ব্যস্ত। সে কারণে বন্দরে আওয়ামীলীগের অবস্থা নাজুক। বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ নিজেই নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতে বাধা হয়ে আছেন। তিনি দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে ধামগড় ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল ও মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুলের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রশসনকে ম্যানেজ করে জিতিয়ে দেবেন বলে। কিন্তু কামালের পিতা প্রায়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়নাল হকের সুনামের কারণে তিনি ভোটারদের সমর্থন আদায় করে নিতে সক্ষম হয় এবং তিনি বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হন। কিন্তু রুহুল আর বিজয়ী হতে পারেনি। টাকা নিয়ে এম এ রশিদ তার পক্ষে কোন কাজ করেননি। যা রুহুল নিজে স্বীকারও করেছেন। শুধু তাই নয় নিজ দলের প্রার্থী মাসুমের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কোন কাজ করেনি এমন অভিযোগও রয়েছে। যে দিন মাসুম পরাজিত হন সেদিন মাসুমের পরিবার বিলাপ করে কেঁদেছে এবং এম এ রশিদকে অভিশাপ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি এম এ রশিদ ওয়ার্ডের নির্বাচনেও বিজয়ী হতে পারবেন না। সে কর্মী তৈরী করতে পারেনি। পেরেছে নিজের আখের গোছাতে। যে ব্যক্তি রিকশায় চড়তে টাকা পেত না আজ আওয়ামীলীগ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক। দুদকের উচিৎ তার বিষয়ে অনুসন্ধান করা। তিনি নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত নেতা হিসাবে জাহির করে বেড়ান কিন্তু দুদক অনুসন্ধান চালালে বুঝা যাবে সে কতটুকু দুর্নীতিবাজ। একথা শুধু আমার নয়। অনেক আওয়ামীলীগ নেতার কথা। আওয়ামীলীগের নেতারা দলের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য মুখ খুলছেন না। তিনি বিগত উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। ঐসময় তার পরিনতি কি হয়েছিল তা বন্দরবাসী জানেন। পরবর্তিতে ওসমান পরিবারের আর্শিবাদে ও তাদের হস্তক্ষেপে তিনি বিনা ভোটে ওসমান পরিবারের দয়া ভিক্ষায় তিনি উপজেলা চেয়ারমান হন। এবারও তিনি চেয়েছিলেন, আগের মত ওসমান পরিবারের দয়া ভিক্ষায় বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হবেন। কিন্তু আওয়ামীলীগ সভানেত্রী সে সুযোগ আর দেননি। কারণ এবার দলীয় কোন প্রতীক নেই। সকলকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সুযোগ তৈরী করে দেয়ায় এম এ রশিদের মথায় পাহাড় ভেঙ্গে পড়েছে তাই তিনি নানা ভাবে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীদের ঘায়েল করতে ঘৃণ কৌশল অবলম্বন করেছে। তাতেও তিনি পার পাবেন না। বন্দর উপজেলায় একটি জরিপ করলে বুঝা যাবে তার অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে মদনপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতা বসবাস করলেও আওয়ামীলীগ সভাপতি এম এ রশিদের অবস্থা একেবারেই নাজুক। তবে ৮ মে কার গলায় বিজয়ের মালা ঝুলবে তা দেখার অপেক্ষা মাত্র। এলাকার একাধিক ভোটারের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বিভিন্ন ভাবে ফন্দি ফিকির এঁটে তাদেরকে একটি মহল আওয়ামীলীগ সভাপতির পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করার চেষ্টা হচ্ছে। আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীদেরও দাবি এবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার অনেক আগে থেকেই গত নির্বাচনের মত এম এ রশিদকে খালি মাঠে বিজয়ী করার অপচেষ্টা হিসাবে সাধারণ নেতাকর্মীদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা সকলেই এক বাক্যে বলেছেন, বন্দরে উন্নয়নে এবার অতীতের মত প্রভাবশালী কারো হুমতি ধমকি চলবে না। বন্দরে এবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে যিনি নির্বাচিত হবেন, তাকে জনতার কাছে ওয়াদা করেই নির্বাচিত হতে হবে। কারো তলপিবাহক প্রার্থীকে বন্দরবাসী এবার নির্বাচিত করবে না বলে সাধারণ ভোটারদের অভিমত।