বন্দরে মাকসুদ-আলমগীর ও শান্তা নির্বাচিত
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার বন্দর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে এসে নিজ পছন্দের প্রার্থীকের ভোট দেন। বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ৫৪টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে আলহাজ¦ মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে ২৯ হাজার ৮শ’ ৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ দোয়াত কলম প্রতীকে ১৪ হাজার ৮শ’ ২২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। আর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল চিংড়ি মাছ প্রতীকে ১২ হাজার ৬শ’ ২২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। তবে বন্দর উপজেলা নির্বাচন সম্পূর্ন শান্তিপুর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর পুরুষ ভ্ইাস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীকে আলমগীর হোসেন ১৭ হাজার ৬শ’ ৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব ছিলেন জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ উড়োজাহাজ প্রতীকে ১৭ হাজার ১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়, শহিদুল ইসলাম জুয়েল টিউবওয়েল প্রতীকে ১৩ হাজার ৪শ’ ২৮ ভোট ও মো: মোশাঈদ রহমান মুকিত তালা প্রতীকে ৮ হাজার ৪শ’ ৬ ভোট পান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছালিমা হোসেন শান্তা ফুটবল প্রতীকে ২৯ হাজার ৪শ’৫৬ ভোট পেয়ে পুনরায় বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব ছিলেন মাহমুদা আক্তার কলস প্রতীকে ২৬ হাজার ২শ’ ৮৪ ভোট পান। নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বুধবার রাতে বন্দর উপজেলা মিলনায়তনে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এদিকে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ভোট কেন্দ্র দখলের পায়তারা ও জাল ভোট দেয়ার পদক্ষেপ নিলেও প্রশাসনের খটোর অবস্থানের কারণে কেহ আগাতে পারেনি। বন্দর উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে উপহার দেয়ায় বন্দরের ভোটাররা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রির্টানিং অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভ’মিকা থাকায় ভোটাররা প্রশাসনের প্রসংশা করতে শুনা গেছে। বন্দরবাসী বলেন, দীর্ঘ দিন পর তারা নিজেদের ভোট অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। এ নির্বাচন বন্দরবাসীর মধ্যে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে অনেকে মনে করছেন। বিগত নির্বাচনে প্রার্থী কারচুপি প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ত¡ ও পেশীশাক্তি প্রয়োগের অভিযোগ তোলার সুযোগ পেলেও এবারের উপজেলা নির্বাচনে শতভাগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে ভোটারদের অভিমত। আগামী নির্বাচনগুলিতেও বন্দরের ভোটাররা এ ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করেন।