আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:২৪

রশিদের লজ্জায় লজ্জিত আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ১৩ মে, ২০২৪ | ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী এম এ রশিদের লজ্জা জনক হারে লজ্জিত হয়েছে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা। এম এ রশিদকে নিয়ে নাচানাচি, হুমকি কোন কিছুতেই কাজে আসেনি। আওয়ামীলীগের তৃনমূল মনে করেছিলেন এম এ রশিদ ৫ বছর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলন হয়তো অনেক তীর মেরেছেন। সেই সাথে দল ক্ষমতায় তিনি যে কোন মূল্যে নির্বাচিত হবেন। আর এম এ রশিদের অনুরোধে শহর থেকে শীর্ষ নেতারা রশিদের পক্ষ হয়ে হুমকিসহ নানা ধরনের কথা বলেছেন। তারা জনতেন না রশিদের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। তাই আওয়ামীলীগের এক নেতা বলে উঠলেন রশিদ হেরে যেমন মুখ লুকাচ্ছেন তেমনই রশিদের হারে বন্দর আওয়ামীলীগ লজ্জিত হয়েছে। রশিদ বন্দর আওয়ামীলীগকে যেভাবে ডুবিয়েছেন বন্দরে আওয়ামীলীগ জেগে উঠতে অনেক সময় লাগবে। কারণ রশিদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষতো দূরের কথা সাধারণ নেতাকর্মীরা কোন প্রকার সুবিধা পায়নি। আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়ে ও বিœা ভোটে উপজেলার চেয়ারম্যান হয়ে সকল সুবিধা একাই ভোগ করেছেন। যার কারণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আওয়ামীলীগের নেতারা আরও বলেন, যে রশিদ এক সময় পানি আনতে পান্তা ফোরাত সেই রশিদ আজ কোচি কোটি টাকার মালিক। যার কোন ব্যবসা বা আয়ের কোন পথ নেই। দুদক যদি অনুসন্ধান চালায় তাহলে রশিদের পাঠানোর পথ থাকবে না। এ ব্যপারে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি আওয়ামীলীগের লোক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমি গণতন্ত্রে বিশ^াসী। যেখানে দল উপজেলা নির্বাচন উম্মুক্ত করে দিয়েছে তাই আমি গণতান্ত্রিক ভাবে মাকসুদ হোসেনকে সমর্থন করেছি। ্টার তিনি ভাল লোক বিধায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এম এ রশিদ একজন লোভী প্রকৃতির লোক। তিনি টাকা শুধু নিজের কব্জায় রাখেন। তিনি বলে বেড়ান কোন দুর্নীতি করেননি। তাহলে দুদক তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালাক তাহলে বুঝা যাবে তিনি কতটুকু দুর্নীতি করেছেন। আজ তার কাছে কোটি কোটি টাকা এর উৎস কোথা থেকে? আমি জানি এম এ রশিদ দুর্নীতিবাজ তাই আমি তাকে লালকার্ড দেখিয়েছি। এ ব্যপারে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বলেন, নির্বাচনের আগে আমার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি। আর আমি সব সময় স্বাধীনতার স্বপক্ষে থেকেই রাজনীতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানী করেছি। আজ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আমি নাকি হয়ে গেছে স্বাধীনতার বিপক্ষের লোক। আমি নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমি বাংলাদেশের সন্তান এদশের স্বাধীনতার জন্য আমি গর্বিত। তিনি আরো বলেন, যারা আওয়ামীলীগ বিক্রি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে তাদের বিষয়ে দুদক যেন অনুসন্ধান চালায়। অনেকে আওয়ামীলীগের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছে তাদের হাত থেকে আওয়ামীলীগকে রক্ষা করতেই আমার নির্বাচন। আমি আওয়ামীলীগের লোক নই কিন্তু আমি জাতীয়পার্টির লোক। আজ আওয়ামলিীগ ও জাতীয়পার্টি একে অপরের পরিপূরক। এখন থেকে আমার মিশন বন্দরের উন্নয়ন ও বন্দরবাসীদের জঞ্জাল মুক্ত রাখা। আমি সন্ত্রাস করিনা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয়ও দিবনা। আমি সকলের মাকসুদ হয়ে থাকতে চাই। নির্বাচনের দিন মদনপুর ইউনিয়নের ৩৩ নম্বর কেওঢালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের এক পোলিং এজেন্টকে মারধর করা হয়। আহত ফারুক হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রে ঢোকার পর থেকেই আমাকে বের হয়ে যাবার জন্য হুমকি দিচ্ছিলো দোয়াত-কলম প্রতীকের পোলিং এজেন্ট। আমি রাজি না হওয়াতে আমাকে ভোটকক্ষ থেকে বের করে মারধর করা হয়।’ এ ব্যপারে নাম প্রকাশ না করার আওয়ামীলীগের এক নেতা বলেন, এম এ রশিদ অহমিকার কারণে যেমন ডুবেছে তেমন বন্দরে আওয়ামীলীগেকে দুর্বল করে গেছে। তারমত নেতা আওয়ামীলীগের জন্য অভিশাপ। এ ধরনের অভিশপ্ত নেতাদের আওয়ামীলীগ থেকে বিতারিত করাই শ্রেয়। আমি মনে করি আওয়ামীলীগ রক্ষায় এম এ রশিদকে বহিস্কার এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। কারন তিনি নিজের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত থাকতেন আওয়ামীলীগের নেতাদের চিনতেন না। সম্প্রদি বন্দর উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন ২৯ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়েছেন। দোয়াত-কলম প্রতীকের এমএ রশিদ ১৪ হাজার ৮৩৮ ভোট পেয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রশিদ গতবার বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়েছিলেন। বন্দর উপজেলায় উপজেলার ৫৪টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ জন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা