বিএনপিকে নিয়ে আ’লীগের ষড়যন্ত্র

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরে এবার বিএনপির কাউন্সিলর ও ভাইসহ পরিবারসহ বিএনপির একাধিক মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আওয়ামী দোসররা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় গত বছরের ২৪ জুলাই বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদের নির্দেশে নাসিক ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামসুজ্জোহাসহ তার ভাইদের বিরুদ্ধে সাজানো হত্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। শুধু তাই নয় আওয়ামীলীগ নেতা রশিদ বাহিনী কাউন্সিলর জোহার বাড়িতে হামলা চালায়। গত বছরের ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ রশিদ বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপির সমর্থক কাউন্সিলর জোহা ও তার পরিবার এলাকা ফিরে আসে। পরে তারা এলাকায় ব্যবসা করে যাচ্ছেন। প্রায় ১ বছর তারা শান্ত থাকলেও নতুন করে আওয়ামী দোসররা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এবার তারা বিএনপি ও বিএনপি সমর্তকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যদ ব্যবহার করে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এ ব্যপারে বিএনপি সমর্থক কাউন্সিলর সামসুজ্জোহা জানান, আমরা আওয়ামীলীগ দ্বারা নির্যাতিত। আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে বাড়ি ছাড়া করে রেখেছিল নাসিক ২৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ ও তার বাহিনী। আমি আওয়ামীলীগের সময় ৩ বার নির্বাচন করে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। তারা এর জের ধরে বার বার আমাকে ও আমার পরিবারকে নানা ভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছিল। কিন্তু ৫ আগষ্টের পর স্বৈরাচারের পতন হলে তারা পালিয়ে গেলেও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। এশন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের পরিবারের মান সন্মান ক্ষুন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমার ভাই ওএমএস ডিলার জাহাঙ্গীর এখন তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমারা আর কত আওয়ামী দোসরদের দ্বারা নির্যাতিত হব। এখন দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে কিন্তু এখনো আমরা আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। এ ব্যপারে ওএমএস ডিলার জাহাঙ্গীর বলেন, আমি বৈধ ভাবে ওএমএস ডিলার হয়েছি। আর আমি বিএনপির করি এবং বিএনপির সমর্থক। তাই আমার এলাকার আওয়ামী দোসররা নানা ভাবে আমাদের মান সন্মান ক্ষুন্ন করার জন্য অপপ্রচারসহ গভীর ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাদের অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এদিকে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী দোসররা উৎ পেতে আছে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য। তারা সুযোগ পেলেই অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। তাই নির্বাচনের আগে আওয়ামী দোসর ও সন্ত্রাসীগের গ্রেফতারের আহবান জানান বন্দরের সাধারণ মানুষ।