বিএনপির বির্তকিতরা দলের বোঝা!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি যে করেণে পিছিয়ে পড়ছে তার অন্যতম কারণ হলো কিছু শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে পাতি নেতারাও বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে মাত্র কিছু দিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কিচু পাতি নেতা অল্পদিনে কোটিপতি বনে গেছেন। হঠাৎ এতটাকা এলো কোথা থেকে তার উৎস প্রশাসন খোঁজ না নেয়ায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো দলকে। তাদের কারণে সাধারণ মানুষ বিএনপির প্রতি বিরক্ত ভাব দেখাচ্ছে। আর এ সুযোগটি নিয়েছে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলি। অনেকে বলে বেড়ান ৫ আগষ্টের পর বিএনপি আওয়ামীলীগের প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা প্রতিটি সেক্টর দখল করে চাঁদাবাজিতে মেতে উঠে। এখনো তারা নিয়মিত চাঁদা তুলছে আর সেই চাঁদার ভাগ নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কতিপয় শীর্ষ নেতার পকেটে যাচ্ছে। কিন্তু ঐসকল নেতা নিজেদের ক্লিন প্রচার করতে বিভিন্ন সভায় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন এমনকি কিছু কিছু সামাজিক কাজেও অংশ নেন। বলাচলে বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর শাহেনশাহ ৫ আগষ্টের পর একটি ডক ইয়ার্ড লুট করার পরও তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সে এক সময় রিকশা চলাচলক করত। ৫ আগষ্টের পর হঠাৎ সে গাড়ি কিনে আবার সেই গাড়ির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজের বাহাদুরি প্রকাশ করে। বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ যার রয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। বর্তমানে তিনি হয়ে উঠেছেন বন্দরের উত্তরাঞ্চলের ত্রাস। বর্তমানে তার নিয়ন্ত্রণে চলছে মদনপুরসহ আশপাশের এলাকার শিল্পপতিষ্ঠানে জুট সেক্টর। তার মামলা বানিজ্যের ফোনলাপ ফাঁস হলেও দল কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এভাবে দেখা যায় বতর্শানে নারায়ণগঞ্জ শহরের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক বিএনপির কিছু শীর্ষ নেতার হাতে। ফটপাতের চাঁদা যাচ্ছে তাদের পকেটে। বিগত কোরবানীতে পশুর হাটগুলি বিএনপি নেতারা হাতিয়ে নিয়েছে। যার একটি প্রমাণ বহন করে কোরবানীর হাটের ইজারার জন্য তারা নিজেই সদর উপজেলায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আসলে বিএনপিকে ডুবাতে এসকল বির্তকিত নেতারাই যথেষ্ট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বিএনপি এখন অনেকটা কড়াকড়ি হচ্ছে। এ কড়াকড়ি যদি বিএনপে শুরু থেকে হতো বতে বিএনপির দিকে কেউ আঙ্গুল তুলে কথা বলতে পারত না। এখন বিএনপির দিকে আঙ্গুল তুলে কথার সুযোগ করে দিয়েছে বিএনপির বির্তকিত নেতাকর্মীরা। আজ দেখা যায় স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসরদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ হত্যার চেষ্টা মামলা হচ্ছে। কারণে তাদের অপরাধ তারা গণহত্যার সাথে জড়িত বা সহযোগিতা করেছে। আর আওয়ামীলীগ পুরো দেশটাকে এক প্রকার কারাগার বানিয়ে রেখেছিল। সে অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা সঠিক। কিন্তু ৫ আগষ্টের পর যারা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন নেতাদের বাড়িতে আগুন, লুটপাট করেছে। সরকারি সম্পদও ভাংচুর বা লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হওয়াটা প্রয়োজন ছিল। কারণ আইনী ভাবে অপরাধীর বিচার করবে আইন আদালত। কিন্তু কোন সাধারণ মানুষ বা দলের পক্ষে এ ধরনের অপরাধ করলে তাদেরও আইনের আওতায় আনাটা জরুরী বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। যদি তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হতো তবে তারা আর বেপরোয়া হতে পারবত না। আর এখন বিএনপিকে অপবাদ কাধে বহন করতে হতো না। তবে সাধারণ মানুষ মনে করেন, বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপরাধ করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরী। এদিকে কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে- সে বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের সচেতেন থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে, শহীদ জিয়া এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যেকটি সৈনিককে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে, এই দলের নাম ব্যবহার করে, বিএনপির নাম ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে জনগণের মধ্যে আমাদের সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে- এই ব্যাপারে প্রত্যেককে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর যারা দলের নাম ব্যবহার করে অপরাধ করেছে বা করছে তাদের ব্যপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।